Title
Bangladesh is moving ahead in the fisheries sector
Details
মৎস্য খাতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ
বর্তমান সরকারের সময়ে মৎস্য সেক্টরে অর্জিত অগ্রগতি ও সাফল্য
মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ
- ২০১৮-২০১৯ সালে দেশে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা : ৪৩.৪১ লক্ষ মে.টন
- ২০১৮-২০১৯ সালে মাছের মোট উৎপাদন : ৪৩.৮৪ লক্ষ মে. টন
- ২০০৮-২০০৯ সালে মাছের মোট উৎপাদন : ২৭.০১ লক্ষ মে. টন
- ২০২০-২০২১ সালে মাছের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা : ৪৫.৫২ লক্ষ মে. টন
ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ রোল মডেল
- ২০০৮-২০০৯ সালে ইলিশের মোট উৎপাদন : ২.৯৯ লক্ষ মে. টন
- ২০১৭-২০১৮ সালে ইলিশের মোট উৎপাদন : ৫.১৭ লক্ষ মে. টন
- ইলিশ উৎপাদনকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষে
ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক নিবন্ধন সনদ (জিআই সনদ) প্রাপ্তি
- পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেড মার্কস অধিদপ্তর বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ এর ভৌগোলিক নিবন্ধন প্রদান করেছে।
- বাংলাদেশ ইলিশের ভৌগলিক নিবন্ধন (জিআই সনদ) প্রাপ্তিতে নিজস্ব পরিচয় নিয়ে বাজারে হাজির হয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ। বিশ্বে ইলিশের দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে এখন পৃথিবীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের অধিক ইলিশ উৎপাদিত হচ্ছে।
জেলেদের পরিচয়পত্র প্রদান
- জুন ২০১৭ পর্যন্ত ১৬ লক্ষ ২০ হাজার মৎস্যজীবী-জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়েছে।
- এ পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ২০ হাজার জেলেদের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে।
- প্রায় ৫ লক্ষ জেলে/মৎস্যজীবী পরিবারকে (বিশেষ করে সমুদ্র উপকুলবর্তী জেলা সমূহে) সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনির আওতায় আনা হয়েছে। জাটকা ধরার নিষিদ্ধ মৌসুমে জেলেদের ৪ মাস ৪০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়। এছাড়াও, মা ইলিশ সংরক্ষণ মৌসুমে তাদের বিশেষ বরাদ্দের আওতায় চালা দেয়া হয়।
সুবিশাল সমুদ্র এলাকা জয়
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারিত হওয়ায় ১,১৮,৮১৩ বর্গ কি. মি. এলাকার মৎস্য আহরণে আইনগত ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিশাল সমুদ্র এলাকায় চিংড়ি মজুদ, তলদেশীয় ও উপরিস্তরের মাছের মুজদ নির্ণয়ে “আর.ভি. মীন সন্ধানী” নামক একটি সর্বাধুনিক গবেষণা ও জরিপ জাহাজের মাধ্যমে জরীপ কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে এই জরিপ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এর ফলে নতুন নতুন মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণসহ তলদেশীয় ও ভাসমান মৎস্য আহরণের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান
- অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ের মাছ আহরণে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়।
- বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম।
- মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়।
- শুধু তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশে এখন বিশ্বে চতুর্থ। (এশিয়া মহাদেশে তৃতীয়)।
জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টরের অবদান
- দৈনিক ৬০ গ্রাম মাছের চাহিদার বিপরীতে মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২.৫৮ গ্রাম (বিবিএস, ২০১৬)
- প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ ভাগ যোগান দেয় মাছ (এফএও, ২০১৮)।
- দেশজ জিডিপিতে মৎস্য সেক্টরের অবদান ৩.৫৭ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপিতে মৎস্য সেক্টরের অবদান অবদান ২৫.৩০ শতাংশ (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮)।
- জিডিপিতে বিগত ০৫ বছরে মৎস্যখাতে গড় প্রবৃদ্ধি ৬.২৮ শতাংশ।
- মোট জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশের (১ কোটি ৮৫ লক্ষ) জীবিকা নির্বাহ হয় এ খাত থেকে (বিবিএস, ২০১৬)।
- দৈনিক মাথাপিছু মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৫৩ গ্রাম থেকে ৬০ গ্রামে উন্নীতকরণের বিপরীতে বর্তমানে দৈনিক মাথাপিছু মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬২.৫৮ গ্রাম।
রপ্তানী আয়ে মৎস্য সেক্টরের অবদান
- হিমায়িত চিংড়ি, মাছ ও ভ্যালু অ্যাডেড মৎস্যপণ্য রপ্তানী করে ২০১৮-২০১৯ আর্থিক সালে আয় হয়েছে ৫০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ৪০২৪ কোটি) টাকা।
০৪টি মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট স্থাপন
- মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, গোপালগঞ্জ
- মৎস্যডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, চাঁদপুর
- মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, কিশোরগঞ্জ
- মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, সিরাজগঞ্জ
এসব ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট-এ চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ফিসারিজ কোর্স চালু হয়েছে। প্রতি বছর ১৬০ জন ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির সুযোগ হয়েছে-যারা পরবর্তীতে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।
সুনামগঞ্জ জেলার মৎস্য বিষয়ক সাধারণ তথ্যাদি
- মোট মৎস্যচাষি : ১৬৫০০ জন
- মোট মৎস্যজীবী : ১,২১,৭৪৩ জন
- মোট নিবন্ধিত জেলে : ৯২১৭৯ জন
- ২০১৯-২০২০ সালে মোট মাছ উৎপাদন : ৯৮২২৯.৭৮ মে. টন
- জেলার মোট মাছের চাহিদা : ৫৬৩৭২.০০ মে. টন
- জেলার উদ্বৃত্ত মাছের পরিমাণ : ৪১৮৫৭.৭৮ মে. টন
প্রচারেঃ
মৎস্য অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ।