Wellcome to National Portal

কোনা জাল (মশারি জাল), কারেন্ট জাল, কড়া জাল, বিভিন্ন ধরনের চাই প্রভৃতি ব্যবহার, মাছের আবাসস্থলে বা চলাচল ও প্রজননের স্থলে স্থায়ী বা অস্থায়ী বাঁধ বা স্থাপনা তৈরি করে, উন্মুক্ত জলাশয়ে বিষ প্রয়োগ করে অথবা বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মৎস্য আহরণ করলে, ডিম ওয়ালা মাছ ধরলে, মাছের পোনা ধরলে জরিমানা আদায় ও আইনানুগ শাস্তি প্রদান করা হবে। মৎস্য সংরক্ষন আইন-১৯৫০ সম্পর্কে জানুন, মেনে চলুন এবং অন্যকেও জানান ও হাওর, খাল-বিল, নদী তথা উন্মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ বৃদ্ধি করুন। মৎস্য অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ


মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বন্যায় মাছ চাষে করণীয়
বিস্তারিত

বন্যায় মাছ চাষে করণীয়

বন্যার পূর্বে মৎস্যচাষি ও উদ্যোক্তাগণের করণীয়:

  • নতুন পুকুর বা জলাশয় খননের ক্ষেত্রে বন্যামুক্ত এলাকা বেছে নিন।
  • মাছ ছাড়ার পূর্বে ভালভাবে পাড় মেরামত করার পাশাপাশি পাড় উঁচু করে বেঁধে দিন।
  • পাড়ে ইঁদুরের গর্ত থাকলে তা ভাল করে বন্ধ করুন।
  • পুকুর বা জলাশয় বানা বা নেট দিয়ে ঘিরে দিন।
  • অপেক্ষাকৃত বড় মাছগুলি বিক্রি করার ব্যবস্থা নিন।
  • বন্যা কবলিত হতে পারে এমন পুকুরের ছোট মাছগুলি নিরাপদ জলাশয়ে স্থানান্তর করুন।
  • বন্যা পরবর্তী মজুদের জন্য পোনা প্রতিপালন করুন বা পোনা উৎপাদনকারীর সাথে যোগাযোগ রাখুন।
  • নিকটস্থ মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারী এবং স্থানীয় মৎস্য সম্প্রসারণ প্রতিনিধির (লিফ) সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।

বন্যাকালীন মৎস্যচাষি ও উদ্যোক্তাগণের করণীয়:

  • বন্যা কবলিত পুকুর হতে মাছ নিরাপদ জলাশয়ে স্থানান্তর করুন।
  • সম্ভব হলে পাড় উঁচু ও শক্ত করে বেঁধে দিন।
  • দ্রুত পুকুর বা জলাশয়ের চার পাড়ে নেট বা বানা দিয়ে উঁচু করে ঘিরে দিন।
  • পুকুর বা জলাশয়ের কোণায় ও মাঝে ঝোপঝাড় দিয়ে মাছের আশ্রয়স্থল বানিয়ে নিন।
  • মাছ দ্রুত আকৃষ্ট হয় এমন খাবার (খৈল, চিটাগুড়, কেঁচো ইত্যাদি) পুকুর বা জলাশয়ের খাদ্যদানিতে দিয়ে রাখুন।
  • একই এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া পুকুর বা জলাশয়ের মালিকগণ সমাজ ভিত্তিক বা যৌথভাবে নেট জাল বা
  • বানা দিয়ে ঘেরাও করে মাছ চাষ ও রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে পারেন।
  • বন্যা কবলিত পুকুরের মাছ খাবি খাচ্ছে এমন লক্ষণ দেখা দিলে অক্সিজেন বর্ধক উপকরণ প্রয়োগ করুন।

বন্যা পরবর্তীকালে মৎস্যচাষি ও উদ্যোক্তাগণের করণীয়:

  • পুকুর বা জলাশয়ের পাড় ভেঙ্গে গেলে দ্রুত মেরামত বা সংস্কার করুন।
  • বন্যার পানি প্রবেশ করেছে কিন্তু সম্পূর্ণ পুকুর ভেসে যায় নাই এমন পুকুরে বন্যার পানি নেমে গেলে শতাংশ প্রতি
  • ২৫০-৩০০ গ্রাম চুন এবং ১০০-২০০ গ্রাম লবণ ১৫ দিন পর পর ২ বার প্রয়োগ করুন।
  • বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন করে পোনা মজুদের জন্য শতাংশ প্রতি ১ কেজি করে চুন প্রয়োগ করুন।
  • ভাল জাতের বড় আকারের (৪-৬টি/কেজি) কার্প জাতীয় মাছের পোনা প্রতি শতাংশে ১৫-২০ টি হারে মজুদ করুন।
  • নিয়মিত ও পরিমিত সুষম মৎস্য খাদ্য প্রয়োগ করুন।
  • পুকুরের পানি ও মাছ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।
  • বন্যার পানির সাথে বাহির থেকে ভেসে আসা (অচাষযোগ্য) মাছ পুকুরে প্রবেশ করলে তা ঘন ঘন জাল টেনে ধরে ফেলুন।
  • স্থানীয় মৎস্য দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে প্যাকেজভিত্তিক প্রযুক্তি গ্রহণপূর্বক মাছ চাষ করুন।
  • বন্যাকবলিত বিস্তীর্ণ এলাকায় পানি ৩-৪ মাস স্থায়ী হলে পেন বা খাঁচায় মাছ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
  • বন্যাকবলিত পুকুরে মাছের রোগ-বালাই দেখা দিলে স্থানীয় মৎস্য অফিসের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।

মৎস্য আইন মেনে চলুন:

  • কারেন্ট জাল/চট জাল/কোনা জাল ব্যবহার/আড়াআড়িভাবে বানা স্থাপন বন্ধ করুন এবং অন্যকে ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করুন। কারেন্ট জাল ব্যবহার, পরিবহন, অধিকারে/দখলে রাখলে ১-২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ৫০০০ টাকা অথবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডিত হবেন।
  • নদী-নালা, খাল বিল ও বন্যাপ্লাবিত এলাকা হতে ৯ ইঞ্চির নীচে কার্প জাতীয় মাছ, ১২ ইঞ্চির নীচে বোয়াল, আইর, সিলন এবং পাংগাস মাছের পোনা ধরা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। মৎস্য আইন ভঙ্গ করলে ১-২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা ৫০০০ টাকা জরিমান অথবা উভয় প্রকার দন্ডে দন্ডিত হবেন।

প্রচারেঃ

মৎস্য অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ

ডাউনলোড
ছবি
প্রকাশের তারিখ
10/06/2020
আর্কাইভ তারিখ
30/06/2021